বরিশাল ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
জালাল আহমেদ ও মোঃ কামরুল ইসলাম সোহাগ, দশমিনা (পটুয়াখালী) থেকেঃ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় আওয়ামীলীগের এক নেতার চাল চুরির ঘটনা স্থানীয় এমপির ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে । অপরদিকে নিরাপত্তার দাবীতে উপজেলা র্নিবাহী অফিসারের কার্যালয় অবস্থান ধর্মঘট করছেন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপকার ভোগীরা। পরে দশমিনা থানার ওসির প্রতিশ্রুতিতে ধর্মঘট কারীরা তাদেরধর্মঘট তুলে নিয়েছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, গত ৩০ এপ্রিল
দশমিনা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ডিলার আব্দুল হাই সকদারের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজির চাল) আত্মসাতের অভিযোগ করেন কাটাখালী-গোলখালী এলাকার ১৯ জন উপকারভোগী।
ওই অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা খাদ্য বান্ধবকর্মসূচির সভায় অভিযুক্ত ডিলার আব্দুল হাইএর লাইসেন্স (ডিলারশীপ) বাতিল ও আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা ওই ডিলারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বুধবার বিকেলে তার সমর্থিত কর্মী সমর্থক নিয়ে ইউএনও
তানিয়া ফেরদৌসকে আব্দুল হাইর ডিলারশীপ পূনর্বহাল রাখার জন্য চাপ প্রয়োগকরেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অভিযোগকারী সুখুরঞ্জন (৮০),
কালিচরন (৭৫), আনন্দ (৪২), ফিরোজ (৩৫) ও সুক্কুর রাড়ী (৬৫) কে বুধবারাত ১০ টায় এমপি তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে বেতাগী ইউনিয়নের নিজস্ব বাসভবনে নিয়ে তাদের আত্মসাৎকৃত চাল ফেরৎ
দেয়া ও চারলাখ টাকামূল্যের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য হুমকি দেয়। ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিনজন স্বাক্ষর করেছেন বলে সুক্কুর রাড়ি জানিয়েছেন।
অপরদিকে এমপির ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে সুফল ভোগীরা গতকাল বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টায় নিরাপত্তার দাবীতে উপজেলা র্নিবাহী অফিসারের কার্যালয়ের ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান ধর্মঘট করেন। ইউএনও তানিয়া ফেরদৌস জানান, এমপি মহোদয় চাল আত্মসাৎকারী ওই ডিলারের ডিলারশীপ পূর্নবহালের দাবীতে চাপ প্রয়োগ করেছেন তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে তাকে জানিয়েছি।
দশমিনা থানার ওসি এসএম জালালউদ্দিন জানান,
ধর্মঘটকারীদের কেউ ভয়ভীতি দেখালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন জানান, ইউএনওর সাথে স্থানীয় এমপির দূর্ব্যাবহারের ঘটনা দুঃখজনক, এ ঘটনায় নিন্দা জানাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চালচুরির সাথে যেইজড়িত তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএমশাহজাদা
মুঠোফোনে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান, যারা চাল পায়নি তারা অভিযোগদিতে এসেছিলেন, তাদেরকে চাল ফেরৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ইউএনওকে চাপ প্রয়োগের ঘটনা শতভাগ মিথ্যা। এমপির চাল চুরির পক্ষে অবলম্বন করায় জনগনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।