বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
জিয়া শাহীন ॥ মার্কেট/ শপিংমল খুলে দেয়ায় বরিশালে লকডাউন পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল। করোনা দুর্যোগের মাঝেও ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেগুলোতে ছিল উপছে পড়া ভিড়। আর এর ফলে বরিশালে আশংকাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছিল করোনা। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ১৯ মে মঙ্গলবার থেকে আবার মার্কেট আবারো বন্ধ ঘোষণা করে।
এতদিন লকডাউনের মধ্যে ছিল চোর পুলিশ খেলার মত। পুলিশ এলেই দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। আবার চলে গেলেই কিছু দোকানপাঠ খুলতে শুরু করে। আর ক্রেতারও সামজিক দুরত্ব কি তা যেন মাকের্টে এসে ভুলেই গিয়েছিল। দুধের শিশু নিয়ে মাকের্ট করতে আসেন মায়েরা। সাথে ৪/৫ বছরের শিশুতো রয়েছেই। মাস্ক নেই অধিকাংশ ক্রেতার মুখে। দোকানে প্রবেশের মুখে হ্যান্ড সেনিটাইরাইজার ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। ফলে করোনা ভাইরাস যেন জেঁকে বসে। যেখানে প্রতিদিন ২/৩জন রোগি মিলত বরিশালে, কখনও কখনও একজনও ছিলনা , সেখানে গত ৩ দিনে ২৫জনের বেশি রোগি মিলেছে। ফলে প্রশাসন বাধ্য হয়ে আবার লকডাউন ঘোষণা করেন। ১৯ মে থেকে কার্যকর হওয়া লক ডাউনে এবার মাঠে নামে সেনাবাহিনী র্যাব, পৃলিশ, সাথে ম্যাজিষ্ট্রেট। আশতীত ফলও মেলে। সব মার্কেটগুলোই গতকাল বন্ধ দেখা গেছে। তবে কিছু মানুষ বিনা প্রয়োজনের যেভাবে আগে বের হত, সেটা রোধ করা যায়নি। এখনও সুযোগ পেলেই রাস্তার কোনে জটলা শুরু হয়। তব্ েগতকাল আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল খুব কঠোর। সেনাবাহিনী র্যাব পুলিশ ও মেজিষ্ট্রেট সমন্বয়ে গঠিত টিম পুরো চকবাজার, কাটপট্টি বাজর রোডে ব্যাপক তদারকি চালায়। জরিমানা করা হয় কয়েকজনকে। মাইকিং করা ব্যাপক। সতর্ক করা হয় সকলকে। পুরো এলাকায় সব দোকানপাঠ ছিল বন্ধ। যেন এতদিনে লকডাউন কাহাকে বলে তার প্রমান মিলেছে। স্বস্থিও ফিরতে শুরু করেছে।