মনপুরার সকল নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী, চরবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারছেনা প্রশাসন - The Barisal

মনপুরার সকল নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী, চরবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারছেনা প্রশাসন

  • আপডেট টাইম : মে ১৯ ২০২০, ১৬:৪২
  • 798 বার পঠিত
মনপুরার সকল নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী, চরবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারছেনা প্রশাসন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মনপুরা ( ভোলা) প্রতিনিধি ॥ সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবেলা ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা
মনপুরায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন ও
সিপিপি’র পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন চরের বাসিন্দাদের সর্তক করতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হলেও তেমন সাড়া নেই স্থানীয়
বাসিন্দাদের।

মনপুরা থেকে বিচ্ছিন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীরচর, মহাজনকান্দি ও ঢালচরের প্রায় ২০ হাজারের উপরে মানুষ বসবাস করে। এই সমস্ত চরে প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং ও ট্রলার পাঠানো হলে চরবাসী মূল ভূ-খন্ডে আসতে রাজি হচ্ছেনা।
তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর চেষ্ঠা চলছে।
এদিকে ঘূর্ণীঝড় আম্পান মোকাবেলা উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে সভা করা হয়েছে। এছাড়াও এই উপকূলের
সাইক্লোন সেন্টার, স্কুলের ভবন সহ ৭৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও একটি মেডিকেল টিম ও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়াও উপকূলের প্রায় ৩০ টি মৎস্যঘাটে গিয়ে নদীতে মাছ শিকারে না যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিকে দূর্যোগের কারনে স্পীডবোট যোগে
পুলিশ প্রহরায় সোনালী ব্যাংকের ভল্টে থাকা সকল টাকা ভোলা ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, একদিকে সরকার করোনার কারনে ঘরে থাকতে কয়, আবার সিগন্যাল টানছে এহন কয় ঘরের থেকে বাহিরে যাইতে, আমরা পড়ছি
বিপদের মধ্যে। স্থানীয় মৎস্য জীবিরা জানান, এতদিন নদীতে অবরোধ আছিল, পরে আবার
লকডাউন, এহন ঘূর্ণীঝড় কই যামুন, মাছ না ধরতে পারলে না খেয়ে মারা যামু।

এই ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রাসেদ মাহমুদ জানান, সুপার সাইক্লোনে ও ঈদের মধ্যে অনেকদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে তাই ভল্টে জমানো
টাকা ভোলা ব্যাঞ্চে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা সিপিপি এর টিম লিডার এরফান উল্লা অনি চৌধুরী জানান, সিপিপি’র ৮২৫ জন সদস্য নিজ নিজ এলাকায় থেকে মাইকিং করে যাচ্ছে। সিপিপি’র পক্ষ থেকে চরের মানুষদের ৭৪ টি সাইক্লোন সেন্টারে আনার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে কিন্তু রৌদ্রউজ্জ্বল আবহাওয়া, বাতাস ও বৃষ্টি না
থাকার কারনে মানুষ সাইক্লোন সেন্টারে আসার জন্য উৎসাহ দেখাচ্ছেনা। তারপরও আমারা চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ইলিয়াস মিয়া জানান, ৭৪টি ঘূর্ণীঝড় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্র উঠানোর জন্য সিপিপিকে মাধ্যমে চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। হাজিরহাটের মহাজনকান্দি চরে ২৫-৩০ টি পরিবার বাস করে, তাদের আনতে ট্রলার পাঠানো
হলেও তারা গরু-বাচুর রেখে আসতে চাচ্ছেনা। তারপরও আমরা চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, মনপুরায় দূর্যোগ প্রস্তুতি পরপর দুইটি সভা করা হয়েছে। স্থায়ী ও অস্থায়ী ভবন সহ ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন চরে কিছু জণগোষ্টি আছে, তাদেরকে আনতে ট্রলার পাঠানো হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আনা যায়নি। তবে চেষ্ঠা চলছে। তবে আল্লাহ ভরসা, আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে মোকাবেলা করতে পারবো।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

ফেসবুক কর্নার

শিরোনাম
আন্দোলনের নামে অরাজকতার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বরিশালে শ্রমিকদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পারাজাপুরে একই সময়ে বিএনপি ও যুবদলের দুই গ্রুপবরখাস্ত হচ্ছেন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কহাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমিরপ্রাথমিকে আসছে বড় নিয়োগ, নেওয়া হবে ১৭ হাজার শিহাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার টনক নড়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষের / একসংগে ৪৬ ট্রসাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন, নির্যাতনও বাড়ছের‍্যাংকিংয়ে ফের দশে নেমে গেল বাংলাদেশ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করল ইসলামী আন্দোলজনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তআমি ইউনূস-হাসিনা দ্বন্দ্বের বলি: টিউলিপফিরছে ‘না’ ভোট