বরিশাল ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণীঝড় আম্ফান যতো এগিয়ে আসছে, সাগর নদ-নদী ততোই উত্তাল হচ্ছে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আম্ফানের পাশাপাশি অমাবস্যার প্রভাবে সাগর যেমন উত্তাল রয়েছে, নদ-নদীর পানিও স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অরক্ষিত বেড়িবাধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার মাঝের চর, চর আন্ডা, চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়াসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । এসকল চর এলাকার পানিবন্ধি মানুষদের নিকটবর্তি সাইক্লোন শেল্টারে নেয়ার ব্যবস্থা করছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাশফাকুর রহমান। তিনি জানান, চরমোন্তাজ ও চরআন্ডার পানিবন্ধিদের ট্রলার যোগে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এদিকে নৌকা ডুবে কলাপাড়ার ধানখালী ৬ নং ইউনিটের সিপিপি টিম লিডার শাহ-আলম নিখেঁাজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও ঘূনিঝড় পরবর্তী প্রস্তুত এবং করনীয় বিষয় সচেতনতা মুলক প্রচার মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার ৮ টি উপজেলার নয় শতাধিক সাইক্লোন শ্লেটারে প্রায় ৩ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
ঘূর্নিঝড় আম্ফান পরিস্থিতিতে সরকার জেলায় ২০০ মেঃটন চাল, নগদ ৩ লক্ষ টাকা, শিশু খাদ্য খাতে ২ লক্ষ টাকা ও পশূ খাদ্যের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রন কক্ষ সূত্রে জানাগেছে। এ ছাড়া জেলায় ৩২৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।