বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শাওন অরন্য, বিশেষ প্রতিবেদক।। বরিশাল নগরীর ২৫টি গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মধ্য দিয়ে “সবার মুখে হাসি সিজন-১১” সম্পন্ন করল রং পেন্সিল ইয়ুথ এসোসিয়েশন।
করোনা ভাইরাসের কারনে দেশে এখন লকডাউন চলছে। দিন দিন করোনা তার প্রভাব বিস্তার করে চলছে। তার ছোয়া বরিশাল নগরীতেও লেগেছে। যার ফলে কাজ কর্ম সব বন্ধ। দীর্ঘ দিন কাজ কর্ম বন্ধ থাকার ফলে অর্থ এবং খাদ্য সংকটে পরেছে বরিশালের নিম্নবিত্ত মানুষ জন। শুধু নিম্নবিত্তই নয় সমাজের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেও এই সংকটের ছোয়া লেগেছে। তার উপর সুপার সাইক্লোন আম্ফানও কিছুটা প্রভাব ফেলে গেছে। যার ফলে ভাল ভাবেই খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তাই বিগত বছরগুলির মত এই বার ঈদেও অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রং পেন্সিল ইয়ুথ এসোসিয়েশন। তারা আয়োজন করেছে “সবার মুখে হাসি”। এটা তাদের ১১ তম সিজন।
ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে হিসেবে থাকছে পোলাওর চাল ২কেজি, সেমাই ১টি, চিনি ১কেজি, দুধ ৫০০মিলি, আলু ৩কেজি, ডাল ২কেজি, ভাতের চাল ৫কেজি, পিয়াজ ২কেজি, তেল ১লিটার, বাদাম ১০০গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, সাবান ২টি।
আজ ২২ মে (শুক্রবার) বিকাল ও রাতে বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া, কালুশাহ সড়ক, মুক্তি যোদ্ধ পার্ক এবং রাজ্জাক কলোনির ২০ টি গরীব ও অসহায় নিম্নবিত্ত ও ৫টি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারসহ মোট ২৫ টি পরিবারকে এই ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।এর আগে রং পেন্সিল এর সদস্যরা আগে উক্ত স্থান গুলিতে গিয়ে খোজ খবর নিয়ে টোকেন দিয়ে আসে। পরে আজ তাদের ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রং পেন্সিল ইয়ুথ এসোসিয়েশন এর সদস্য মিজু, আল-আমিন, জিহাদ, পরশ, তামান্না, ফয়সাল, রুবি সহ আরো অনেকে।
এই ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদানের বিষয় রং পেন্সিল ইয়ুথ এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌসিফ ইসলাম শাওন বলেন, দেশে এই মুহুর্তে চরম সংকটে আছে করোনা ভাইরাসের কারনে। খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে। তাই বিগত বছরগুলির মত এবারো আমরা গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি। যতটুকু আমাদের সামের্থ্য কুলায় সেই অনুযায়ী তাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করেছি। এটা আমাদের ১১তম সিজন। আমরা রং পেন্সিল ইয়ুথ এসোসিয়েশন অতিতেও গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকব।