বরিশাল ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শামীম আহমেদ॥ বৈশ্বিক কভিড-১৯ করেনা সংক্রমন ভাইরাসের কারনে সামাজিক ও শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে এবার বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ মসজিদেই একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বড় বড় মসজিদগুলোতে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এক ঘন্টার ব্যবধানে ৪টি জামাতও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এবার বরিশাল কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দান সহ দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও উন্মুক্ত প্রান্তরে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে সকাল সাড়ে ১০টায়। নগরীর চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর পর প্রতি ঘন্টায় একটি করে জামাত সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হবে।
নগরীর মুসলিম গোরস্তান ও পলাশপুর কাজির গোরস্তান সহ পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদ ও শহরের প্রাণকেন্দ্র সদররোডস্থ জামে বায়তুল মোকাররাম মসজিদ, পুলিশ লাইন্স মসজিদ, কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদ, বটতলা হাজী উমর শাহ মসজিদ, করিম কুটির মসজিদ, বায়তুল মামুর মসজিদ, নবগ্রাম রোড-চৌমহনী মারকাজ মসজিদ, বাংলাবাজার মসজিদ, নথুল্লাবাদ মসজিদ, ফরেষ্টার বাড়ী মসজিদ ও রূপাতলী হাউজিং মসজিদ সহ নগরীর প্রধান মসজিদগুলোতেই একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় সব মসজিদেই প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরমেনাই দরবার শরীফ মসজিদ, ছারছিনা দরবার শরীফ মসজিদ ও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক সভা কক্ষে ঈদ উল ফিতরের নামাজ আদায় নিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের, ইমাম সমিতির ও পুলিশসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসক সভা করেছেন। সভায় সিদ্বান্ত অনুযায়ী বড় পরিসরে ঈদের জামাত পরিহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মসজিদের ভিতরে ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদে সর্বাধিক জামাতের আয়োজন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম জামাত সকাল ৭ টায় শুরু করে সর্বশেষ জামাত সকাল ১১ টার মধ্যে শেষ করতে হবে। জামাত শেষে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের
দরবারে দোয়া কামনা করতে হবে। মসজিদে জামায়াতে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসুল্লীগণকে নিজ নিজ জায়নামাজে নামাজ আদায় করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক
ব্যবহার করতে হবে। অজু নিজ বাসা থেকে করে আসতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত সামাজিক শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা সহ সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে মসজিদের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কাতারবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং এক কাতার পর পর কাতার করতে হবে। শিশু বয়োবৃদ্ধ এবং অসুস্থ্য ব্যক্তিগণ ঈদু-উল ফিতরের জামাত অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে এসকল নিয়ম মেনে চলার জন্য সকল ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের প্রতি আহবান জানান।